দাউদ কিভাবে ভাল হয় ঘরোয়া উপায়

দাউদ কিভাবে ভাল হয় ঘরোয়া উপায়, পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা, সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত কি জানেন, আপনি যদি দাউদ কিভাবে ভাল হয় ঘরোয়া উপায় ও পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আজকের আমাদের পুরো আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি অবশ্য উপকৃত হতে পারবেন।

দাউদ  কিভাবে ভাল হয় ঘরোয়া উপায়

ভূমিকা : দাউদ কিভাবে ভাল হয় ঘরোয়া উপায়, পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা, যেভাবে করা হয়ে থাকে, দাদ শুরু হয় চুলকানি থেকে, এরপর ফুসকুড়ি দেখা যায়, ফুসকুড়ি দেখা যাওয়ার পরে গোল গোল চাকা চাকা দাগ দেখা যায়, দাউদ এর চুলকানি খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু দ্রুত চিকিৎসা নিলে খুব সহজে দাউদ ভালো করা যায়। ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায়ে দাউদ নিরাময় করা হয়ে থাকে। দাউদ শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে, যেমন মাথার ত্বকে, শরীরে ও নখে, দাউদ হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায় দাউদ এর চিকিৎসা কিভাবে করা যায় জেনে নেই।

দাউদ কিভাবে ভাল হয় ঘরোয়া উপায়


প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া ভাবে দাউদ ভালো করার জন্য আমাদের অবশ্যই এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে চলুন নিয়ম গুলো জেনে নিই ।
  • বাড়ির আশেপাশে ও আঙিনা সব সময় পরিষ্কার রাখুন, বাড়ির আশেপাশে কোন পানি জমতে দেওয়া যাবে না, সবসময় শুষ্ক রাখুন।
  • দাউদে আক্রান্ত রোগীকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। দাউদে আক্রান্ত জায়গা আলতো করে পরিষ্কার করতে হবে।
  • দাউদে আক্রান্ত জায়গাকে সব সময় শুষ্ক রাখতে হবে, টাইট ফিটিং পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে , আক্রান্ত স্থানে যাতে ঘাম না আটকে যায়।
  • ব্যক্তিগত আইটেম শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন, যেমন চিরনী , পোষাক , তোয়ালে, সব সময় ভালো করে হাত ধুতে হবে। পুকুর বা নদী নালাতে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে,এই স্বাস্থ্য বিধি গুলো মেনে চলতে হবে, এর সাথে সাথে চা গাছের তেল, ভিনেগার ও হলুদ প্রয়োগ করতে হবে আক্রান্ত জায়গায়। এর সাথে সাথে আপনি এক কোয়া রসুন, হালকা করে আক্রান্ত স্থানে ঘষে নিতে পারেন, রসুন কিন্তু খুব বেশি দেয়া যাবে না, রসুন খুব বেশি দিলে আক্রান্ত স্থান পুড়ে যেতে পারে।
  • এই নিয়মগুলো মেনে চললে দাদ নিজে থেকে ভালো হয়ে যাবে , কিন্তু এর জন্য কয়েক সপ্তাহ বা মাস ও লেগে যেতে পারে, দাউদ খুব আস্তে আস্তে ভালো হয়।

পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা জেনে নিই


পুরাতন দাদ এর চিকিৎসার জন্য আমাদের প্রথমে ব্যবহার করতে হবে কাঁচা হলুদ, নিম পাতা, নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ, একসঙ্গে বেটে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে। মিশ্রণটি শুকানোর পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপরে হালকা করে কাঁচা রসুন ঘষে দিতে হবে। রসুন খুব বেশি পরিমাণে দেওয়া যাবে না। তাহলে আক্রান্ত স্থান পুড়ে যেতে পারে।
  • পুরাতন দাউদ দূর করতে কর্পূর ও নারকেল তেল খুবই উপকারী, কর্পূর ও নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে, ভালো ফলাফল পেতে মিশ্রণটি প্রত্যেক দিন দুইবার লাগাতে হবে।
  • পুরাতন দাউদের জীবাণু দূর করতে এলোভেরা জেল খুবই কার্যকরী। ভালো একটি ব্র্যান্ডের এলোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে কিছুদিনের মধ্যে দাউদ এর জীবাণু দূর হয়ে যাবে।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি জেনে নিন 


দাউদ ভালো করার জন্য অধৈর্য হলে চলবে না, এ রোগ খুব আস্তে আস্তে ভালো হয়, তাই অধৈর্য হলে চলবে না, ধৈর্য সহকারে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে, দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি চলুন জেনে নিই, দাউদের সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তাররা উন্নত মানের ভালো মলম প্রস্তুত করেছেন, মলমগুলি হচ্ছে,১, ফাঙ্গিট্যাক ক্রিম, ২, লুলি জল ক্রিম ৩,ইবারকোনা জল ক্রিম, ৪,ক্লোটিমেজল ক্রিম ৫, মাইকোনা জল ক্রিম, এই ক্রিম ফানজিডার নামে পরিচিত, আর ফানজিডাল ক্রিম সকলের পছন্দের। এই ক্রিমগুলো প্রত্যেক দিন দুইবার ব্যবহার করা যায় কোন সমস্যা হয় না। সকাল ও রাতে দুইবার।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ


দাদ হলে এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না, এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে চুলকানির পরিমাণ বেড়ে যাবে, দাউদ কোনমতে ভালো হবে না, চলুন খাবার গুলো জেনে নিই, খাবারগুলো হল ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, বোয়াল মাছ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, গরুর মাংস, এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, এর পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে, ও মলম লাগাতে হবে, প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায় গুলো ফলো করতে হবে । তাহলে খুব সহজে দাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

দাউদের সবচেয়ে ভালো ওষুধ কোনটি জেনে নিন

দাউদ হলে ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায়ের পাশাপাশি আমাদের ওষুধ সেবন করতে হবে, এর পাশাপাশি মলম লাগাতে হবে, দাউদের কিছু ওষুধের নাম, ১,ফলুকোনাজোল ৫০ মিলিগ্রাম, এই ওষুধটিকে ফলুগাল ও বলা হয়ে থাকে।
  • ২, ইট্রাকন ট্যাবলেট
  • ৩, রাইনিল ট্যাবলেট
  • ৪, অ্যান্টিহিস্টামিন নামক এলারট্রল ১০ mg
  • অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে, একা সিদ্ধান্ত নিয়ে ওষুধ খাওয়া চলবে না হবে।
শেষ কথা :আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, তা অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন, আর আপনার বন্ধুদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা সবসময় চেষ্টা করি কম সময়ের মধ্যে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন নতুন আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url