সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা

সাজেক ভ্যালি সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা, সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত, সম্পর্কে আপনি কি জানেন, আপনি যদি সাজেক ভ্যালি সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা ও সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আমাদের এই পুরো আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্য। পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকলে আপনি সাজেক ভ্যালি সুন্দর সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা


ভূমিকা :বর্তমান সময়ে ভ্রমণ করার জন্য মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি, সাজেক ভ্যালি দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ভ্রমণ করতে আসে। আর সাজেক যাবেই না কেন, সাজেকের রূপের কোন তুলনা হয় না। সারা বছরই বর্ণিল সাজে সেজে থাকে সাজেক ভ্যালি। চলুন বন্ধুরা তাহলে জেনে নেয়া যাক, সাজেক ভ্যালি সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা ও সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত।

সাজেক ভ্যালি সৌন্দর্য সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা


ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়, সবুজের ছায়ায় মেঘের হাতছানি, পাহাড়ের বুকে আঁকাবাঁকা পিচঢালা অনেক পথ। প্রকৃতির মাঝে পাহাড়ের টিলা, দেখে মনে হচ্ছে পাহাড় যেন মেঘ ছুঁয়ে যাচ্ছে। পাহাড় ও মেঘের অপূর্ব মিলনের জন্যই বুঝি সাজেককে বলা হয় মেঘের রাজ্য। পথের আঁকে বাঁকে আদিবাসীদের বাড়ি। খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ৬৭ কিলোমিটার দূরে সাজেকের অবস্থান। সাজেক যেতে হলে খাগড়াছড়ি সদর থেকে তিন ঘন্টা লাগবে।

পাহাড়ি পথে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে ছোট ছোট আদিবাসী শিশুরা হাত নাড়িয়ে থাকে সকলকে স্বাগত জানানোর জন্য। সাজেক দুইটা পাহাড় রয়েছে, এর মধ্যে একটি নাম রুইলুই, ও আরেকটির নাম কঙ্কাল। রুইলুল পাহাড় থেকে কঙ্কাল পাহাড়ের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। কঙ্কাল পাহাড় হচ্ছে সাজেক ভ্রমণে আসার পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। অন্যদিকে সাজেক ভ্যালির শেষ গ্রাম কঙ্কাল পাড়া।রুই লুই পাহাড় থেকে ২ ঘন্টা পথ অতিক্রম করলে দেখতে পাওয়া যাবে কমোলক ঝরনা। 

সুন্দর এই ঝর্ণাটিকে অনেকে পিদাম তৈসা ঝর্ণা বা সিকাম তৈসা ঝরনা বলে থাকে। সাজেক দেখলে মনে হয় দিন কিংবা রাত যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত। কোন সময় পুরাতন হয় না।সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত দেখার মত জায়গা এটা। দেখলে মনটা ভরে যায়। এর সাথে রয়েছে হাজার ছড়া ঝর্ণা, দীঘানারা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দিখানালা বনবিহার।সাজেকের এই সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর।

সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা কত


সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্ব উত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত, সাজেক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। এখানে সাজেক বিজিবি ক্যাম্প অবস্থিত। বিজিবি সদস্যের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারায় বর্তমানে সাজেকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সাজেকে পাহাড় ১০ বার রাস্তা ধস এরকম কোন ঝুঁকি নেই। রুইলুই পাড়া ও কঙ্কাল পাড়া এই দুটি পাড়া সমন্বয়ে গঠিত সাজেক। সাজেক পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতা। সাজে ভ্রমণ পর্যটকদের নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে পর্যটকদের বিজিবি প্রদত্ত পরামর্শ গুলো মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।

সাজেক যাবার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত


সাজেকের অবস্থার রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও খাগড়াছড়ি জেলায় দীঘা মেলা হয়ে সাজেক যাতায়াত অনেক সহজ। প্রথমে খাগড়াছড়ি আসতে হবে, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক এর দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার, খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে কাছ থেকে জিপ গাড়ি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে সাজেক ভ্যালি ঘুরতে আসতে পারবেন। আশা ও যাওয়া দুই দিনের জন্য ভাড়া নিবে ৮ থেকে১০হাজার টাকা।একটি গাড়িতে করে ১০থেকে ১৫ জন যেতে পারবে। 

গাড়িতে যদি মানুষ কম থাকে তাহলে অন্য গ্রুপের সাথে কথা বলে শেয়ার করে গাড়ি নিলে খরচটা একটু কম হবে।এছাড়াও সিএনজি দিয়ে সাজেক যাওয়া যায়। সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া লাগবে, চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে পাহাড়ি রাস্তা গুলো খুব উঁচু-নিচু হয়ে থাকে দিয়ে ভ্রমণ না করাটাই ভালো।

কোন সময় সাজেক গেলে ভালো হয়


সাজেকের রূপের কোন তুলনা, হয়না সারা বছরই বর্ণের সাজে সেজে থাকে সাজেক। বছরের যে কোন সময় সাজেক ভ্রমণ করা যায়। তবে জুলাই থেকে নভেম্বর মাসের সাজেকের চারপাশে মেঘের খেলা দেখা যায় খুব বেশি পরিমাণে। তাই এই সময়টা সাজেক ভ্রমণের জন্য সবচাইতে ভালো সময়।

শেষ কথা : সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে পুরো তথ্য আজ আমরা আপনাদের জানিয়েছি, আমাদের এর তথ্যগুলো পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন তাহলে তারা আপনার মত উপকৃত হতে পারবে, নতুন নতুন আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন, পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url