শিশুর টাইফয়েড জ্বর এর লক্ষণ
শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত কি কি জানেন, আপনি যদি শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও টাইপের জ্বর কতদিন থাকে, সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা : শিশুর টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ, টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে, টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়, টাইফয়েড পরবর্তী সমস্যা, টাইফয়েড জ্বর যে কোন বয়সের মানুষেরই হতে পারে। জ্বরের প্রথম সপ্তাহে টাইফয়েড নির্ণয় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রক্ত প্রসব পরীক্ষা করা পরে এই রোগ সনাক্ত করা সম্ভব হয়ে থাকে। টাইফয়েড কোন ছোঁয়াচে জ্বর নয়, তবে সময় মত চিকিৎসা নিলে খুব সহজে রোগ সারানো যায়।
শিশুর টাইফয়েড জ্বর এর লক্ষণ
শিশুদের টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ যেভাবে বুঝবো, প্রথম অবস্থাতে শিশুদের জ্বর দেখা দিবে ,জ্বরের মাত্রা একশ চার ডিগ্রী পর্যন্ত থাকবে, টানা সাত দিনের জ্বর কমবে না । এরপর বমি ও পাতলা পায়খানা, এর সাথে মাথা ব্যথা, পেট ফুলে যা ও পেট ব্যথা করা, একই সাথে জীবের ওপর সাদা পড়া।পেট এবং পিঠের নিচে লালচে দাগ ও রেস বের হতে দেখা , এই সমস্যা গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে, শিশু টাইফয়েড জ্বর হয়েছে।এই সমস্যাগুলো হওয়ার পরও যদি কেউ না বুঝতে পারে যে শিশু টাইফয়েড জ্বর হয়েছে। তাহলে খুব সহজে সনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
আর যদি খুব সহজে না বুঝতে পারে যে শিশু টাইফয়েড জ্বর হয়েছে, তবে এই সমস্যা বেড়েই চলবে, টাইফয়ের এর চেয়েও অন্যান্য জটিলতা অসুখগুলো দেখা দিতে পারে । এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এর পাশাপাশি রোগীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে
১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত টাইফয়েডের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লক্ষণগুলো বাড়তে দেখা যায়, তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। টাইফয়েড এর লক্ষণ বা উপসর্গগুলো প্রত্যেকটি মানুষেরই ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত, কারণ টাইফয়েড জ্বর খুবই খারাপ একটি অসুখ, এই অসুখ থেকে আপনার প্যারা টাইফয়েড হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই টাইফয়েড জ্বরের প্রতি আমাদের খুব সতর্ক অবলম্বন করা উচিত ।
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায়
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, প্রাথমিক অবস্থাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে খুব দ্রুত আপনার টাইফয়েড জ্বর ভালো হয়ে যাবে, আর যদি খুব বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে আপনার এই অসুখটি অন্যদিকে চলে যাবে। নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। টাইফয়েড জ্বর ভালো করার জন্য আমাদের প্রথমে ব্লাড ও প্রসাব পরীক্ষা করতে হবে, রক্ত ও প্রস্রাব এর মধ্যে এর জীবাণুগুলো থাকে। তাই রক্ত প্রসব পরীক্ষা করলে খুব সহজেই টাইফয়েড জ্বর সনাক্ত করা সম্ভব।
টাইফয়েড জ্বরের ওষুধ সেবন করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ডাক্তার যেভাবে যতদিন ওষুধ খেতে বলেছে ততদিন ওষুধ জ্বালিয়ে যেতে হবে, একদিনও বাদ দেওয়া যাবে না। ওষুধের কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে। তারপর ডাক্তারের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ঘর ও বাথরুম সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
টাইফয়েড পরবর্তী সমস্যা
টাইফয়েড পরবর্তী সমস্যা সমাধানের জন্য, ওষুধের কোর্স শেষ হওয়ার পরে আমাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। টাইফয়েডের সমস্যা সমাধান খুব সহজে হয় না। রোগীকে সেরে উঠতে অনেক সময় লেগে যায়। টাইফয়েডের সমস্যা হলে রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। টাইফয়েড পরবর্তী সমস্যার কারণে আমাদের যে জটিলতা গুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো।
পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে যায়, মেরুদন্ডের সংক্রমণ দেখা দেয়, মস্তিষ্কের প্রদাহ, অগ্নাশয় প্রদাহ, এমনকি নিউমোনিয়ার জনিত সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের নিয়মিত কোষ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। আর আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। এর সাথে সাথে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে আমরা অনেক রোগ জীবাণু মেরে ফেলতে পার। আমাদের সকলের উচিত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url