আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভূমিকা : আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, আলুর রসের ফেসপ্যাক তৈরি করা, আলুর রস ও মধুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করা, আলুর রস চুলে দিলে কি হয়, আলুর রস ও লেবুর রসের উপকারিতা, রূপচর্চায় আলুর উপকারিতা।এ সকল বিষয়ে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি। রূপচর্চায় ম্যাজিকের মত কাজ করে আলু,আলুর ফেসিয়াল বানিয়ে সুন্দর ত্বকের অধিকারী হচ্ছেন অনেকে।

আলু একপ্রকার সবজি, এতে রয়েছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিংক, খনিজ ফসফরাস এর মতো প্রয়োজনে উপাদান। এই সকল উপাদান গুলো আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহজে কাজ করে থাকে, গায়ের রং ফর্সা করতে আলু, ব্লিস হিসেবে কাজ করে থাকে। ত্বকে যদি নিয়মিত আলু ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ত্বকে কোন বলিরেখা দেখা দিবে না। ত্বককে লাবণ্যময় করতে সাহায্য করবে আলু।

আলু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, আলুতে এমন কিছু গুনাগুন রয়েছে যা আপনার ত্বককে ফর্সা ও সুন্দর করতে সাহায্য করে,প্রথমে আলুটা বেটে নিতে হবে, এরপর আলুর রসটা দুই টেবিল চামচ পরিমাণ নিতে হবে, এর সাথে এক টেবিল চামচ পরিমাণ মধু নিয়ে আলু রসের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এই প্যাকটি মুখে গলায় হাতে পায়ে ব্যবহার করতে পারেন।

যখন এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন অবশ্যই ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে এই প্যাকটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন। ত্বকে এভাবে আলু ব্যবহার করলে,ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় দেখাবে। ত্বকের কাজে ভাব দূর করতে ও ত্বককে ফর্সা করতে আলু বেশ কার্যকরী উপাদান ঘরোয়া পদ্ধতিতে।

আলুর রসের ফেসপ্যাক তৈরি করার উপকরণ। ১,আলুর রস ও লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। ২,আলু টমেটো ও টক দই একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় ৩,আলু টমেটো ও দুধের রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। ৪,আলু স্ট্রবেরি মধু, ৫,আলু মুলতানি মাটি ও গোলাপজল, ৬,আলু টক দই ও হলুদ, ৭,আলু কাঁচা দুধ ও আমন্ড অয়েল, ৮,আলু কাঁচা দুধ ও গ্লিসারিন, এই উপকরণগুলো দিয়ে আলাদা আলাদা ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়।যার ত্বকে যেই ফেসপ্যাক টি একটা শুট করবে সে সেটা ব্যবহার করতে পারেন।

ধুলোবালি, ঘাম, রোদের তাপ, থেকে তোকে বেশ ময়লা জমতে থাকে, তক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে, ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল দেখাবে। আলুর রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকে যেভাবে ব্যবহার করব, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে আলু ও মধুর কোন জুড়ি নেই। ২ টেবিল চামচ আলুর রসের সঙ্গে, মধু মিশিয়ে, এই মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন। 

২ টেবিল চামচ আলুর রস, এর সঙ্গে তিন থেকে চার ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার লাগান, লেবুর রস ত্বকে বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়, এতে ত্বকের অনেক ক্ষতি হতে পারে। আলুর রস ও লেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ পরিমাণ চিনি মিশিয়ে ব্যবহার করলে, ফলাফল আরো ভালো পাওয়া যায়। যাদের ত্বকে এলার্জি আছে তাদের ত্বকে লেবুর রস না লাগানোই ভালো।

আলুর রস চুলে দিলে যেসব উপকারগুলো হয়, চুল পড়া রোধ করে আলু, চুলের আগা ফাটা থেকে রোধ করে, আলু, ডিমের সাদা অংশ,মধু,পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। এই প্যাকটি চুলের গোড়ায় ও চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এরপর আলু ও অ্যালোভেরা দিয়ে একটু জেল তৈরি করে চুলে দিলে চুল হবে নরম ও ঝলমলে সিল্কি।

রূপচর্চায় দারুন উপকারি আলু। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে আলবেশ উপকারী, মাঝারি সাইজের একটা আলু দুই টুকরা গোল করে কেটে নিতে হবে, এরপর আলু দুইটা দুই চোখে দিয়ে রাখতে হবে ১০ মিনিট, এভাবে প্রত্যেক দিন ব্যবহার করুন একবার করে এক মাস, ব্রণ নিরাময়ে বেশ কার্যকরী আলু, শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে, আলু কে ছেচে রসটুকু পোড়া জায়গায় লাগিয়ে দিলে,পোড়ার যন্ত্রণাটা কমে ঠান্ডা হয়ে যায় । 

শেষ কথা : আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, আপনার মতামত অবশ্যই শেয়ার করবেন, নতুন নতুন আরো টিপস পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।আপনার বন্ধুদেরও শেয়ার করতে ভুলবেন না, তাহলে তারাও আপনার মত উপকৃত হবে। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।